কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন একটি বিশাল জলাশয়ের একাংশ বোজানোর অভিযোগ উঠল। কিন্তু, কী ভাবে এবং কাদের মদতে ওই কাজ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয়েরাও। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বও। কিন্তু প্রশ্ন হল, দিনকয়েক ধরে মাটি ফেলা হলেও তা কারও নজরে এল না কেন?
খড়দহ ও পানিহাটির সীমানা বন্দিপুর পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে রয়েছে ‘খেপলির বিল’ নামে পরিচিত ওই জলাশয়। খড়দহের প্রাক্তন বিধায়ক তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ওই জলাশয়কে ঘিরে ইকো-টুরিজ়ম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করলেও পরে তা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডাম্পারে করে মাটি ফেলা হচ্ছে। যদিও কে বা কারা সেই কাজে যুক্ত, তা নিয়ে প্রকাশ্যে স্থানীয়েরা মুখ খুলতে চাননি।
সম্প্রতি সোদপুরে অমরাবতী মাঠের বড় অংশে আবাসন প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা ঘিরে অভিযোগ উঠেছিল। শেষে রাজ্য সরকার সেই মাঠ অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এর পরে এই জলাশয়-বিতর্কে স্থানীয় সিপিএম নেতা শুভব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় ওই জলাশয় গুরুত্বপূর্ণ। শাসকদলের মদতে একটি শ্রেণি এই বেআইনি কাজ করছে। অবিলম্বে প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’
ব্যারাকপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশীর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে, জলাভূমি বোজানো যাবে না। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে খড়দহের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘শুধু খেপলির বিল নয়, পাশের আরও দু’টি জলাশয়ের একাংশ ভরাট হয়েছে। অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য জেলাশাসককে চিঠি দেব।’’