• গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস! এরপর... স্ত্রীকে মারতে ভয়ংকর রাস্তা নিল স্বামী...
    ২৪ ঘন্টা | ২২ মে ২০২৫
  • মৃত্যুঞ্জয় দাশ: স্ত্রীর গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস লাগিয়ে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল আদালত। ২০২০ সালের ২৪ মে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার রামকানালী গ্রামে নিজের বাড়িতেই স্ত্রী বৈশাখী বাউরীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্বামী আনন্দ বাউরীর বিরুদ্ধে।

    ৫ বছর পর সেই ঘটনায় স্বামী আনন্দ বাউরীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। সূত্রের খবর, ১৩ বছর আগে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বৈশাখী বাউরীর সঙ্গে বিয়ে হয় বেলিয়াতোড় থানার রামকানালী গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ বাউরীর। ওই দম্পতির একটি ছেলে ও একটি মেয়েও হয়।

    পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। মাঝেমধ্যেই আনন্দ বাউরী মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রী বৈশাখীর উপর চড়াও হয়ে মারধর করত বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দুই পরিবার আলোচনায় বসে মিটমাটও করে নেয়। কিন্তু তারপরেও বৈশাখীর উপর অত্যাচার কমেনি।

    ২০২০ সালের ২৪ মে রাতে বৈশাখীর বাপের বাড়ির লোকজন জানতে পারে সে অসুস্থ। তাঁকে বেলিয়াতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে বৈশাখীর বাপের বাড়ির লোকজন জানতে পারেন বৈশাখীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই বৈশাখীকে খুন করার অভিযোগ তুলে বেলিয়াতোড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বৈশাখীর ভাই আস্তিক বাউরী।

    পরে আনন্দকে গ্রেফতার করে বেলিয়াতোড় থানার পুলিস। তারপর থেকে ওই ঘটনার মামলা চলছিল বাঁকুড়া জেলা আদালতে। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষ্য গ্রহণের পর বুধবার আদালত বৈশাখী বাউরীকে খুনের ঘটনায় স্বামী আনন্দ বাউরীকে দোষী সাব্যস্ত করে।

    এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালত আনন্দ বাউরীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে আনন্দ বাউরীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাঁকুড়া জেলা আদালত।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)