মাথায় উঠেছে খাওয়া-ঘুম! ঘরেবাইরে লাখ লাখ মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ বাঁকুড়ার গ্রাম, বিক্ষোভ পথ অবরোধ করে
আনন্দবাজার | ২২ মে ২০২৫
শুধু ঘরেই নয়, মাঠেঘাটে সর্বত্র ভন ভন করছে মাছি। মাছির উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে, ঠিক করে খাওয়াদাওয়াও করা যাচ্ছে না। অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাঁকুড়া সদর থানার কাশিবেদিয়া এলাকার বহু মানুষ।
বাঁকুড়া ১ ব্লকের ৬০এ জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কয়েকটি মুরগির হ্যাচারি রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই হ্যাচারিগুলি আসলে মাছির আঁতুড়ঘর । হ্যাচারিগুলি থেকে লক্ষ লক্ষ মাছি জন্ম নিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে কাশিবেদিয়া, পড়্যাশোল, তেঘরি, দলদলি, জগন্নাথপুর, ঘোলগড়িয়া-সহ আশপাশের গ্রামগুলিতে । আর তাতেই ঘরে-বাইরে টিকে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হচ্ছে মাছির উপদ্রব। দিনভর লক্ষ লক্ষ মাছি ভন ভন করছে ঘরের সর্বত্র। বর্ষাকাল চলে এলে এই উপদ্রব আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন স্থানীয়েরা। তাঁদের আশঙ্কা, এ ভাবে চলতে থাকে গ্রামে যে কোনও সময় রোগ ছড়িয়ে পড়বে। মহামারি পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। এ ব্যাপারে বার বার হ্যাচারি মালিককে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা।
পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা মীরা কিস্কু বলেন, “মাছির উৎপাতে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই। অগত্যা আমরা পথ অবরোধ করে আমাদের দাবি জানালাম। কাজ না হলে মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাব।’’
হ্যাচারি কর্তৃপক্ষের তরফে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সৌমেন কুন্ডু বলেন, ‘‘আমরা হ্যাচারি ও তার আশপাশে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করি । তার পরেও মাছির বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এ বার আরও ভাল মানের কীটনাশক প্রয়োগ করা হবে। গ্রামবাসীদের আর যাতে কোনও প্রকার সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টি দেখা হবে।”