শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: মুর্শিদাবাদের আকাশে রহস্যজনক ড্রোন! শনিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামে ড্রোনটি পাওয়া যায়। সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে ড্রোন উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামে কিছু যুবক মাঠের পাশে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় ভুট্টা খেতের পাশে একটি ড্রোন দেখতে পান পলাশ নামে এক ব্যক্তি। কোনও মালিককে খুঁজে না পেয়ে তিনি সেটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান পলাশ । ড্রোন উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যরা। নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থানীয় সদস্য আনসারুল হোসেন বলেন, “মুহূর্তে ড্রোন উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় সামশেরগঞ্জ থানা এবং বিএসএফকে। ক্যাম্প থেকে বিএসএফ আধিকারিকেরা এসে ড্রোনটি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর-বরোজডিহি বাংলার শেষ গ্রাম। এরপরই গঙ্গা নদী ও তারপর বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকা। যে এলাকায় অবস্থায় ড্রোনটি উদ্ধার হয়েছে তার খুব কাছেই রয়েছে নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্প। কিন্তু কীভাবে ড্রোনটি বরোজডিহি গ্রামে এসে পৌঁছল তা কেউই বুঝতে পারছেন না। যদিও সামসেরগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার সকালে এক যুবক ড্রোনটি নিজের বলে দাবি করেছেন। ওই যুবকের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের যাবতীয় রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, রাতে গোপনে চরবৃত্তির জন্য ড্রোনটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে ড্রোনটি উড়ে আসে। কন্ট্রোল হারিয়ে যাওয়ায় তা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিতকুমার সাউ বলেন, “উদ্ধার হওয়া ড্রোনটি কোথা থেকে এসেছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ড্রোনটি পরীক্ষা করার জন্য বিএসএফ নিয়ে গিয়েছে।”