• বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের হরিণ শিকার করে সেই মাংস দিয়ে বনভোজন, গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত...
    আজকাল | ০৬ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলিপুরদুয়ার জেলার রায়ডাক চা বাগান থেকে হরিণের মাংস-সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেন বক্সা বনদপ্তরের কর্মীরা। 

    জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় রায়ডাক চা বাগানের ৪ নম্বর লাইন এলাকায় হরিণ শিকার করে সেই মাংস দিয়ে চলছিল বনভোজন। গোপন সূত্রে, সেই খবর চলে আসে বনকর্মীদের কাছে। এরপরেই রেঞ্জ অফিসার শ্যামল মণ্ডলের নেতৃত্বে রায়ডাক চা বাগানের ৪ নম্বর লাইন এলাকার চা বাগানে অভিযান চালায় বক্সা বনদপ্তরের পূর্ব বিভাগের উত্তর রায়ডাক রেঞ্জের বনকর্মীরা।

    অভিযানে নেমে বনভোজন চলাকালীন এলাকার বাসিন্দা অনিল টোপ্পো, কৌশল কিস্পোট্টা এবং এফ্রেম মিঞ্জ নামে তিন অভিযুক্তকে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন বনকর্মীরা। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় রান্না করা অবস্থায় প্রায় আড়াই কেজি মাংস। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে হরিণের চামড়া ও রক্ত উদ্ধার হয়। এরপরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ হত্যার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে বনদপ্তর। 

    অভিযুক্তদের সোমবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা। আলিপুরদুয়ার জেলার চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মেঘ দর্জি মুকতান অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    এই বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের উপক ক্ষেত্র আধিকারিক দেবাশীষ শর্মা বলেন, "গতকাল সন্ধ্যায় গোপন সূত্রের খবর পেয়ে বনকর্মীরা রায়ডাক চা বাগানের ৪ নম্বর লাইনে অভিযান চালায়। অভিযানে চা বাগানের ভেতর থেকে বনভোজন চলাকালীন হরিণের মাংস সমেত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বনকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু রান্না করা মাংস, হরিণের রক্ত এবং চামড়া উদ্ধার হয়। সোমবার তাঁদের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনে মামলা করে আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।" তিনি আরও বলেন, "হরিণের মাংসগুলি ঠিক কোন প্রজাতির হরিণের সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে উদ্ধার হওয়া মাংসর নমুনা জুলজিকাল সার্ভে অফ ইনিয়াতে পরীক্ষা জন্য পাঠানো হবে। এই ধরনের ঘটনা আগে অনেক ঘটত। বর্তমানে হরিণ হত্যার ঘটনা অনেকটাই কমেছে। বনকর্মীরা যথেষ্ট সজাগ রয়েছে, এরকম খবর পাওয়া মাত্র তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
  • Link to this news (আজকাল)