জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাহাড়েও 'বেআইনি' নিয়োগ। ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতে নির্দেশ লঙ্ঘন করে কীভাবে নিয়োগ? ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব করলেন বিচারপতি।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তখন মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার সূত্রে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একটি চিঠি জমা দিয়েছে CID। সূত্রের খবর, বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে ওই চিঠিটি লিখেছেন এক সরকারি আধিকারিক। চিঠিতে উল্লেখ, জিটিএ এলাকার ৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। সরকারি আধিকারিকদের দাবি, বেআইনি এই নিয়োগ দু'জনের মস্তিষ্কপ্রসূত। একজন রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী, আর একজন জিটিএ-র প্রাক্তন নেতা। সাহায্যকারীর ভূমিকায় ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা। সঙ্গে ডিআই-ও!
এই মামলায় একাধিকবার হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য। বস্তুত, সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালতে রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মামলা করে রাজ্য। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে। শেষপর্যন্ত মামলাটি যখন সুপ্রিম কোর্টে ওঠে, তখন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়।