ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাইক পৌঁছল সিজিওতে, সিবিআইয়ের আতশকাচে এ বার অভিযুক্তের বাহনও
আনন্দবাজার | ২৪ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার যে বাইকটি চড়তেন, তদন্তের স্বার্থে সেটিকে এ বার নিজেদের দফতরে নিয়ে এল সিবিআই। শনিবার দুপুরে বৃষ্টির মধ্যেই একটি ম্যাটাডরে চাপিয়ে প্লাস্টিকে মোড়া বাইকটিকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আগেই জানা গিয়েছিল, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের দিন ওই বাইকে চেপেই হাসপাতালে এসেছিলেন অভিযুক্ত। কাজেই অভিযুক্তের সাদা রঙের দু’চাকার বাইকটি সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বাইকটি আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল কলকাতা পুলিশ।
সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত ব্যক্তি ‘কেপি’ (কলকাতা পুলিশ) লেখা বাইকে চেপে ঘুরে বেড়াতেন। অভিযুক্তের বাড়ির লোক, পড়শি থেকে শুরু করে তাঁর পরিচিতেরা, প্রত্যেকেই একই কথা জানিয়েছেন। এমনকি, এলাকায় তিনি ‘পুলিশ’ লেখা টিশার্ট পরেও দাপটে ঘুরে বেড়াতেন বলে অভিযোগ। ধৃতের প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ, এলাকায় সকলেই জানতেন ওই ব্যক্তি পুলিশে কাজ করেন। তবে ঠিক কোন পদে কর্মরত ছিলেন, তা জানতেন না কেউই।
সিবিআইয়ের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার আগের দিন সকাল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত মোট চার বার আরজি করে যান অভিযুক্ত। তার মধ্যে এক বার গিয়েছিলেন অন্য এক সিভিক ভলান্টিয়ার ‘বন্ধু’র সঙ্গে! সেই ‘বন্ধু’র কোনও পরিচিত আরজি করে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে দেখতে যাওয়ার অছিলাতেই বন্ধুর সঙ্গে হাসপাতালে ঢোকেন তিনি। এ ছাড়াও চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন হওয়ার আগে আরও দু’বার নানা অজুহাতে আরজি কর চত্বরে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই সময়েও ওই ‘কেপি’ লেখা সাদা বাইকে চেপেই হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়িটির সরকারি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। পুলিশে চাকরি না-করেও এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে তিনি কী ভাবে কলকাতা পুলিশের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি বাইক নিয়ে ঘুরতেন এবং কে তাঁকে এটি ব্যবহারের অনুমতি দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।