• রাজ্যের বিরুদ্ধে পালটা বঞ্চনা ও অসৌজন্যের অভিযোগ বিধানসভায় ধরনায় বসবেন শংকর ঘোষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঞ্চনা ও অসৌজন্যের অভিযোগের পালটা এবার তৃণমূল সরকারের অসৌজন্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিধানসভায় অবস্থানে বসতে চলেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। শনিবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্টস’ ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান তিনি। একই সঙ্গে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শংকরবাবু।


    পড়তে থাকুন - তৃণমূল জমানায় রাজ্যের ১৯টি পুরসভায় নিয়োগের অর্ধেকই ভুয়ো, চার্জশিট দিয়ে জানাল CBI

    এদিন শংকরবাবু বলেন, ‘আমাকে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলে যে ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ করে এই বর্তমান জেলাশাসক তার ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমি এই ব্যাপারে SJDAর CO সাহেবের সহযোগিতা চেয়েছি। বারবার করে জেলাশাসকের সহযোগিতা চেয়েছি। সহযোগিতা দূরস্থান, জেলাশাসকের কাছ থেকে ন্যূনতম সহযোগিতা পাইনি। সৌজন্য দেখানো ওনার বিষয়। স্পিকার সাহেবকে আমি চিঠি দিয়েছি। মনোজ পন্থ সাহেবকে আমি চিঠি দিয়েছি। এবার আমি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেব। এই হেনস্থার প্রতিবাদে বিধানসভার অভ্যন্তরে অবস্থানে বসতে চেয়ে স্পিকার সাহেবের কাছে অনুমতি চাইব।’

    তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক সভা, রোগী কল্যাণ সমিতি ও উন্নয়ন কমিটি থেকে বিরোধী দলের বিধায়কদের বাদ রাখা। বিধায়ক তহবিলের যে সামান্য অর্থ পাই সেটাও আটকে দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ির তৃণমূলের চেয়ারম্যান চা বাগানে অবৈধ নির্মাণ করেছেন। গজলডোবাতে জমি ও রিসর্ট ভাঙা নিয়ে নাটক হচ্ছে। এই ইস্যুগুলিকে নিয়ে অবস্থানে বসব। আগামী সপ্তাহেই বসব। তবে কবে বসব সেটা সোমবার বিধানসভায় গেলে বলতে পারব।

    সঙ্গে প্রশাসন ও পুলিশের একাংশকে সতর্ক করে শংকরবাবু বলেন, ‘যারা ভাবছেন তৃণমূলের হাত মাথায় রয়েছে বলে যা খুশি করে বেড়াবেন তারা ভুল করছেন। এই সরকার বেশিদিন থাকবে না। আমরাই আসব। তখন এদের কাউকে ছাড়ব না।’


    শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসৌজন্য ও বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পালটা হিসাবেই শংকর ঘোষের কর্মসূচি বলে মনে করা হচ্ছে। মমতার তিরে মমতাকেই বিঁধতে চান শিলিগুড়ির বিধায়ক। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)