• মিড ডে মিলের লাইনে মৃত্যু ছাত্রের, উত্তাল দক্ষিণ দিনাজপুরের স্কুল, মার শিক্ষকদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ জুলাই ২০২৪
  • মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে ছাত্রের মৃত্যু। আর সেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল কুশমণ্ডি। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডী ব্লকের কচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এমনকী ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ জনতা স্কুল শিক্ষকদের উপরেও ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। 

    প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, দুপুর দেড়টা নাগাদ পড়ুয়ারা খাবারের লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অভিভাবকরা কিছুক্ষণ পরেই এসেছিলেন। ছাত্রের মাথায় জল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। 

    এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। বাসিন্দারা স্কুল চত্বরে এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। স্কুল চত্বরে তুমুল ভাঙচুর করা হয়। শিক্ষকদের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 

    এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি বার বার ফোন করার পরেও যথেষ্ট সংখ্য়ক ফোর্স আসেনি। তার জেরে জনতা তাণ্ডব চালালেও কিছু করা যায়নি। সরকারি সম্পত্তিতে তুমুল ভাঙচুর করা হয়েছে। 

    এমনকী স্কুলের লাইব্রেরিতেও ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হাইস্কুলের দরজা জানালাও ভেঙে ফেলা হয়। 

    সূত্রের খবর, টিফিন পিরিয়ডের সময় ঘটনার সূত্রপাত। সমস্ত পড়ুয়া মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রও মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল।সেই সময় গরমে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর বন্ধুরা তাকে ধরাধরি করে স্কুলের ক্লাসঘরে নিয়ে আসে। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাকে ইটাহার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়়তেই দলে দলে বাসিন্দারা স্কুলে আসতে শুরু করেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশের সামনেই শুরু হয় তাণ্ডব। কিছুক্ষণের জন্য কুশমণ্ডি থানার পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে। অভিভাবকদের একাংশের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি আর একটু তৎপর হত তবে একজন তরতাজা ছাত্রকে এভাবে হারাতে হত না। স্কুল শিক্ষকদের উপরেও ঝাঁপিয়ে পড়ে উত্তেজিত জনতা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশ এই ঘটনায় অন্তত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    প্রধান শিক্ষক রানা দাসের দাবি, পুলিশ ছিল। কিন্তু তারা কিছু করেনি। বহু নথি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)