• মেধাবী জঙ্গি হাবিবুল্লার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত, টেলিগ্রাম অ্যাপে চলত কার্যকলাপ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ জুন ২০২৪
  • মেধাবী এবং শান্ত। দুটি চরিত্রই রয়েছে ছেলেটির মধ্যে। আর এমন একটা ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে তা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না। মিরেপাড়ার বাসিন্দারা এই খবর জানতে পারার পর হাবিবুল্লা ও তার পরিবারকে নিয়ে সারাদিন চর্চা করেছে। পানাগড়ের মিরেপাড়ায় নতুন জঙ্গি সংগঠন শাহাদতের মহম্মদ হাবিবুল্লা টেলিগ্রাম অ্যাপে তিনটি গ্রুপ খোলে। আলফাস ব্ল্যাক, আলফা এবং স্নিগ্ধভোর নামে এই তিনটি গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল সে। এখানের সদস্যদের সঙ্গে কোড ওয়ার্ডে কথা হতো। যার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেগুলি থেকে এখন তথ্য বের করার চেষ্টা করছে বেঙ্গল এসটিএফ।

    এদিকে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ধৃত হাবিবুল্লাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে কাঁকসা থানার পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষার জন্য কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় হাবিবুল্লাকে। বিচারক হাবিবুল্লাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই কলেজ পড়ুয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে লাল খাতা। সেখানে সংগঠনের নাম এবং সদস্য হতে গেলে কী করতে হবে সেসব লেখা রয়েছে। এই লাল খাতার সূত্র ধরেই বাকি সদস্যদের নাগাল পেতে চাইছেন এসটিএফের অফিসাররা।


    অন্যদিকে এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সাদা পাতায় অসংখ্য ইমেল আইডি, পাসওয়ার্ড এবং নানা ওয়েবসাইটের নামের তালিকা মিলেছে। এখানেই পাওয়া গিয়েছে, আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার যোগাযোগের কথাও। এই আবহে মিরেপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ অয়ন আলি বলেন, ‘ছোট থেকে দেখেছি হাবিবুল্লাকে। কথা খুব কম বলে। মানকর কলেজে পড়ার সময় বোঝা যায় ও মেধাবী। পড়াশোনায় খুব ভাল ছেলে ছিল। নিয়মিত নমাজ পাঠ করত। শান্ত স্বভাবের এই ছেলে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত সেটা বিশ্বাস করতে পারছি না।’‌ মহম্মদ ‌ইসমাইলের একমাত্র ছেলে হাবিবুল্লা। বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইল, একটি স্মার্ট ওয়াচ, একটি ল্যাপটপ এবং লাল খাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    এছাড়া হাবিবুল্লার গ্রেফতারের খবরে অবাক হয়েছেন মানকর কলেজের অধ্যক্ষ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, ‘কুব মেধাবী ছাত্র হাবিবুল্লা। কম কথা বলত বরাবরই। কিন্তু ওই ছাত্র যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল সেটা বোঝাই যায়নি।’ হাবিবুল্লাকে ম্যারাথন জেরা করেন এসটিএফ এবং পুলিসের দুঁদে গোয়েন্দারা। তখনই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলার গুরুত্ব বুঝে কাঁকসার এসিপি সুমন যশওয়ালকে আ‌‌ইও করা হয়েছে। হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১, ১২১এ, ১২৩, ১২৫ ও ১৭, ১৮, ১৮এ, ১৮বি, ২০ ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)