• বাঁধের সম্প্রসারিত অংশ ভাঙছে, জনমানসে আতঙ্ক, ড্রেজিংয়ের সিদ্ধান্ত সেচ দফতরের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ জুন ২০২৪
  • কদিন ধরেই তিস্তার ভয়াল রূপ দেখছেন উত্তরবঙ্গের মানুষজন। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ফুলে উঠেছে তিস্তা নদী। আর সেই জলে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। উত্তরবঙ্গের বর্ষা এখন শোকের। এখানে ‘স্পার’ বলে একটি বিষয় আছে। যার অর্থ–ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধের সম্প্রসারিত অংশ। এখন এই ‘‌স্পার’‌ ভাঙছে রোজ। ফুঁসে ওঠা তিস্তার ধাক্কায় মানুষ এখন আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে তিস্তায় ‘ড্রেজিং’ অর্থাৎ নদীখাত খননের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সেচ দফতর। ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নদীখাত খননের বিশদ পরিকল্পনা তৈরি করতে। এই কাজ করতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হবে। আর তা না করলে মানুষের বিপদ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ২০২৩ সালে সিকিমের বিপর্যয় ঘটার পর তিস্তা নদী তার গতিপথ বদল করেছে এবং নদীখাতে পলি জমে উঁচু হয়ে গিয়েছে। এই দুটি কারণে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী। এখন দেখা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি লাগোয়া বাকালিতে তিস্তা নদী বাঁধে সাতটি ‘স্পার’ মুখ ভেঙেছে। ২০২৩ সালের পাঁচটি ‘স্পার’ ক্ষতি হয়েছিল। এবার সিকিমের অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আর তিস্তা নদী গতিপথ বদল করার জেরে আরও দু’টি ‘স্পার’ মাথা ভেঙেছে। এখন তিস্তা নদী বয়ে চলেছে গ্রামের সমান উচ্চতায়। তাই একাধিক গ্রামে জল ঢুকে পড়ছে। তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ এখন বাড়ানো হয়েছে। তাই মেখলিগঞ্জে ‘লাল সতর্কতা’ জারি হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)