• সাংসদের পর এবার কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ জুন ২০২৪
  • বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার পর এবার কলকাতা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন সেদেশের এক যুবক। চিকিৎসার জন্য তিনি পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন। এরপর গতকাল রাত থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান ওই বাংলাদেশি যুবক। ইতিমধ্যেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন যুবকের বাবা। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম দিলওয়ার হোসেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


    পুলিশ এবং যুবকের পারিবারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১৮ জুন পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় এসে মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন বছর ২৩- এর ওই যুবক দিলওয়ার। পরিবারের সঙ্গে গতকাল সকালে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে সোজা ওই হোটেলে ফিরে আসেন। এরপর রাতের দিকে যুবকের বাবা আব্দুল করিম এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে দিলওয়ার হোটেলে নেই। 

    তখন উদ্বিগ্ন হয়ে হোটেলে দিলওয়ারকে খোঁজাখুঁজি করতে পরিবারের সদস্যরা। কোথাও না দেখতে পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এরপর হোটেলের সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায় যে মির্জা গালিব স্ট্রিটের রাস্তা ধরে হোটেল থেকে বেরিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছেন দিলওয়ার। তারপর আর তিনি হোটেলে ফেরেননি। সারা রাত ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দিলওয়ারকে খোঁজাখুঁজি করে তাঁর পরিবার। কিন্তু, তাঁকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার সকালে পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে দিলওয়ারের পরিবার। এই ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলওয়ারের মস্তিষ্কে সমস্যা রয়েছে। এর আগে গত বছর ঢাকার একটি হাসপাতালে পাবনা জেলার বাসিন্দা দিলওয়ারের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। তাই তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দিলওয়ারের বাবা। তাঁর দাবি, নির্দিষ্ট সময়ে দিলওয়ারকে ওষুধ খেতে হয়। না হলে তাঁর শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যায়। কথা বলা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাস্তাঘাটে কোনও অঘটন ঘটতে পারে! এই আশঙ্কায় ছেলেকে যাতে দ্রুত উদ্ধার করা হয় পুলিশের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন বাংলাদেশি যুবকের বাবা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)