নিজস্ব প্রতিনিধি? সাংসদ তহবিলের অর্থের অপব্যবহার এবং তার দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো এবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানাল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ চলতি মাসেই নির্বাচন রয়েছে শান্তনু গড়ে৷ এর আগে তিনি সাংসদ থাকাকালীন কি কি উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন সেই খতিয়ান তুলে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে ছিলেন৷ কার্যের খতিয়ান সম্বলিত লিফলেটও বিলি করেছিলেন শান্তনু৷ শান্তনু দাবি করেছিলেন, পাঁচপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি আধুনিক স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপনের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ যদিও শান্তনুর এই দাবি মেলেনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুষার বিশ্বাসের বক্তব্যের সাথে৷ স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরীই হয়নি তাঁর স্কুলে, দাবি প্রধান শিক্ষকের৷
এ প্রসঙ্গে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুষার বিশ্বাস বলেছেন, ?একটি স্মার্ট ক্লাসরুম নির্মাণের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে৷ কিছু মাস আগে এরকম একটি ইমেল বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া সত্ত্বেও, তহবিল এখনও আমাদের বিদ্যালয় পায়নি৷ ফলস্বরূপ, স্মার্ট ক্লাসরুম প্রকল্পটি অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে৷ ? এই রূপ মিথ্যা দাবির জন্য শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর দলের সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ?শান্তনু ঠাকুর সাংসদ থাকাকালীন ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন এবং তিনি এই টাকা লুটপাট করেছেন৷ গোবরডাঙ্গা এবং হরিণঘাটার স্কুলগুলিতে অর্থ দান করার ব্যাপারে তার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, এবং পাঁচপোতা নিয়েও একইরকম অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে৷ আমরা এই দুর্নীতির পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি৷ সাংসদ তহবিলের অর্থের অপব্যবহারের জন্য তদন্তের দাবি জানিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস৷