• রেকর্ড ভোটে অভিষেকের হ্যাটট্রিকের আশায় তৃণমূল
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বজবজ: বজবজ বিধানসভা এলাকায় একে অপরকে টক্কর দেওয়ার নিঃশব্দ লড়াই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ২০১৪ সালে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৬৬ হাজার ১০৪টি ভোট। আর সিপিএম প্রার্থী ডাঃ আবুল হাসনাত ভোট পেয়েছিলেন ৬১ হাজার ৮২৯। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ৩৬ হাজার ৫০৪টি ও কংগ্রেস পেয়েছিল ৭ হাজার ২৯৯টি ভোট।

    এই হিসেব অনেকটাই বদলে যায় ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে। অভিষেক পান ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ ভোট, যেটা আগের লোকসভার চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার বেশি। সিপিএমকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে পদ্মফুল। বিজেপির নীলাঞ্জন রায়চৌধুরী পেয়ে যান ৬৩ হজার ১১৮ ভোট। আর সিপিএম প্রার্থী ডাঃ ফুয়াদ হালিম পান ৯ হাজার ৪১১ ভোট। কংগ্রেসের সৌম্য আইচের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ২ হাজার ৩৮৮ ভোট। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও বজবজে জোড়াফুল ও পদ্মফুল-এর ভিতর টক্কর জারি ছিল। তবে পিছিয়ে যায় সিপিএম ও কংগ্রেস। জোড়া ফুলের অশোক দেব পান ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩৫৭ ভোট। বিজেপির ডাঃ তরুণ আদক পান ৭৭ হাজার ৬৪৩ ভোট। সেই তুলনায় সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী শেখ মুজিবর রহমান পান মাত্র ১০ হাজার ৮০৯ ভোট।

    তৃণমূল পরিচালিত বজবজ পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রবীণ সাংগঠনিক নেতা গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোট পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাটট্রিক করবেন। কারণ, চড়িয়াল সেতু নির্মাণ, পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে হাসপাতালে ভর্তি, সব ব্যাপারে তাঁর সহযোগিতা পাওয়া যায়। প্রতিটি কাজে নজরদারি করেন। এই যে বিজেপি অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করেছে। এর আগে উনি দু’বার দাঁড়িয়ে হারেন। তারপর উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। আর সিপিএম ও কংগ্রেস এখন অপ্রাসঙ্গিক। সিপিএম নেতা প্রভাত চৌধুরি বলেন, তৃণমূল ভোট দিতেই দিচ্ছে না। সেই সুযোগ পেলে এবার ছবিটাই বদলে যাবে। আর বিজেপির নেতা সজল আদক বলেন, বিগত দিনে এই সব জায়গাতে বিজেপি ১০০-র বেশি বুথে তৃণমূলকে হারিয়েছে। এবার লক্ষ্য ২০০ বেশি বুথে জয় পাওয়া। সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে দল।
  • Link to this news (বর্তমান)