• ভোটপ্রচারে মেরুকরণের অভিযোগ যোগীর বিরুদ্ধে
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শক্তিপুর, অণ্ডাল ও সিউড়ি: রাজ্যে প্রথম সভাতেই বহরমপুরের শক্তিপুরের মতো ‘সংবেদনশীল’ জায়গায় মেরুকরণকে ভিত্তি করে ‘বিষ’ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তাঁর সভা শেষে ‘আস্ফালন’ শুরু করে দেন যুব কর্মীরা। মঞ্চ থেকে বারবার শান্ত হতে বলা হয়। কেউ কোথাও গণ্ডগোল বা অশান্তি করবেন না বলে সামালও দিতে হয়। মেরুকরণের রাজনীতি করারও অভিযোগ উঠল বিজেপির ‘সন্ন্যাসী মুখ্যমন্ত্রী’ অজয় বিস্ত ওরফে যোগীজির বিরুদ্ধে। এদিন সিউড়ি ও রানিগঞ্জেও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেন তিনি।

    রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যোগী বলেন, বাংলায় রামনবমীর মিছিলে হিংসা ছড়ানোর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? কেন দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে সরকার কোনও পদক্ষেপ করল না? এরা উত্তরপ্রদেশে এরকম করলে, উল্টো করে টাঙিয়ে দেওয়া হতো। এমন অবস্থা করা হতো, যেন সাত প্রজন্ম দাঙ্গা করতে ভুলে যায়। উল্লেখ্য, রামনবমীর দিন একটি শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর, রেজিনগর ও বেলডাঙা এলাকা। দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হন বেশ কয়েকজন। এদিন জনসভায় যোগী সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, উত্তরপ্রদেশে রামনবমী এবং নবরাত্রিতে কোনও অশান্তি হয় না। কিন্তু বাংলায় রামনবমীর সময় হিংসা ছড়াল কেন?‌ তিনি বলেন, সোনার বাংলা চাইলে মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার নিয়ে আসুন। বিজেপি সুরক্ষার আশ্বাস দেয়। তিনি বলেন, বাংলায় বিজেপি জিতলে দাঙ্গাবাজ, সন্দেশখালির অপরাধীদের শাস্তি হবে। যোগী বলেন, ‌বাংলাকে হিন্দুবিহীন করার ষড়যন্ত্র চলছে। পরিকল্পিতভাবে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে হিন্দুদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা চলছে। তৃণমূল ও কংগ্রেস মাফিয়া এবং অপরাধীদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দিচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)