• সাগরদিঘিতে গাঁজা সহ পুলিসের জালে ২ যুবক
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: মঙ্গলবার সকালে সাগরদিঘির ধুমার পাহাড় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ৩২২ কেজি গাঁজা সহ কোচবিহারের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিস। এদিন সকালে জাতীয় সড়কে নাকা তল্লাশি চালায় পুলিস। জঙ্গিপুরে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করা পুলিসের বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ধৃতদের নাম রাজীব আলম ও হালদার মিঁয়া। তারা কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ও নাজিরহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের এদিনই বহরমপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতরা কোচবিহার থেকে ওই গাঁজা নদীয়ায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ করে দেয় পুলিস। গাঁজা পাচার চক্রে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। জঙ্গিপুরের পুলিস সুপার আনন্দ রায় বলেন, ধৃতদের কাছ থেকে মোট তিন কুইন্টাল ২২ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত আছে, সেব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।এদিন সকালে সড়কপথে লরিতে করে লুকিয়ে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। লরিতে বস্তায় ধানের কুঁড়ো বোঝাই করা ছিল। তারমধ্যেই সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ছিল গাঁজা। বাইরে থেকে দেখলে মনে হতে পারে বস্তায় ধানের কুঁড়ো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিস লরিটি আটক করে তল্লাশি চালায়। লরিতে অন্তত ১০টি বস্তায় গাঁজা ভর্তি ছিল। প্রায় ৩ কুইন্টাল ২২ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুলিসের চোখে ফাঁকি দিতে ওই গাঁজা পাচারের জন্য ধানের কুঁড়োবোঝাই লরি বেছে নেওয়া হয়েছিল। লরির একেবারে নীচের দিকে গাঁজার বস্তাগুলি রাখা হয়। তারপর অনেকগুলি কুঁড়োর বস্তা দিয়ে গাঁজার প্যাকেটগুলি ঢেকে দেওয়া হয়। জেলা পুলিসের এক অধিকারিক বলেন, কোচবিহার থেকে আনা হয়েছিল ওই গাঁজা। তবে সেই গাঁজা কার কাছে তারা ডেলিভারি দিত সেব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। এবিষয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই বিপুল পরিমাণ মাদক সীমান্ত পেরিয়ে ওপার বাংলায় পৌঁছে যেত কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে মাদক কারবারিরা গাঁজা পাচারের নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। পুলিসের জালে ধরাও পড়ছে। রাস্তায় মাদক সহ পুলিস এই চালকদের কাউকে গ্রেপ্তার করলে মাদকের কারবারিদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছনো সম্ভব হয় না। ফলে কারবারে লাগাম টানা যাচ্ছে না। কোনওভাবে যদি একবার পুলিসকে বোকা বানিয়ে মাদকের কনসাইনমেন্ট রিসিভার পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলেই কেল্লাফতে। প্রচুর মুনাফা লোটে কারবারিরা। তাই বারবার ঝুঁকি নিয়ে কখনও ভিনরাজ্য বা উত্তরবঙ্গ থেকে সড়কপথে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করছে কারবারিরা। 

    নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)