• প্রচারে বিক্ষোভের মুখে বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম, বহিরাগত বলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: অধীর চৌধুরীর পর এবার নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ ও প্রচারে বেরিয়ে ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ শুনলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের জোটের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। নির্বাচনী কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে ভগবানগোলা থানার কালুখালি থেকে জনসংযোগ ও প্রচার কর্মসূচি শুরু করেন সেলিম। কালুখালিতে প্রচার চলাকালীন একদল যুবক প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে ‘বহিরাগত মহম্মদ সেলিম গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। আচমকা স্লোগানে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। দলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের সামনে অস্বস্তিতে পড়েন সেলিম। অবশ্য কিছুক্ষণ পরই যুবকরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। এরপরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

    সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, যে কোন প্রকারে বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়া, তাদের ডিস্টার্ব করা তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যজুড়ে ওরা এটাই করছে। আসলে নির্বাচনে ফল খারাপ হবে আন্দাজ করে ওরা বিরোধী দলের প্রার্থীদের কোথাও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, আবার কোথাও কালো পতাকা দেখাচ্ছে। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনতা জনার্দনের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বলেন, তৃণমূল কর্মীরা নয়, কালুখালি এলাকার সাধারণ মানুষ সিপিএম প্রার্থীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়েছেন। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে প্রার্থী হিসেবে সেলিম সাহেবের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। 

    এদিন কালুখালির পর ভগবানগোলার রমাকান্তপুরে আসেন সেলিম। সেখানে তীব্র গরমে হেঁটে প্রচার সারেন। এরপর মাদাপুর, বাথানপাড়া, কুলগাছি এলাকায় জনসংযোগ করেন। বিকেলে লালগোলার ধূলাউড়ি হাইস্কুলের মাঠে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের জোটের কংগ্রেস প্রার্থী মতুর্জা হোসেনের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জনসভায় প্রার্থী ও স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম ও অধীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেলিম বলেন, আখের রস বের করার মেশিনে দু’টি চাকা রয়েছে। একটি হাতলের সাহায্যে চাকা দু’টিকে ঘোরাতে হয়। আখকে দু’টি চাকার মাঝখানে দিয়ে যত ঘোরানো হবে তত রস বেরবে। সেলিম ও অধীর ওই দুটি চাকা। তৃণমূল নেতা যাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, তাদের দু’টি চাকায় ভরে সব রস বের করে নেওয়া হবে। অধীর বলেন, দিদি ও মোদির মধ্যে একটা সমঝোতা রয়েছে। দু’জনেই কংগ্রেসকে দুর্বল করে দিতে চাইছেন। এটা বাংলার ক্ষেত্রেও সত্য, মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে সত্য। তাই মোদি ও দিদির প্ররোচনায় পা দেবেন না।
  • Link to this news (বর্তমান)