• জল সমস্যা মেটাতে বৈঠকে পুর কর্তৃপক্ষ
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: পুরসভা থেকে সরবরাহ করা পাইপ লাইনে পাম্প লাগিয়ে জল টেনে নেওয়া হচ্ছে, এমন খবর এসেছে পুরসভায়। তাই সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলি চিহ্নিত করতে শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। এবার ‘জল চোর’-দের ধরা হবে। সংশিষ্ট বাড়ির জলের সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হবে। কী করে শহরে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায় তা নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ। 

    এছাড়াও অনেকে বাড়িতে বোরিং করে ভূগর্ভস্থ জল তুলে নিচ্ছে। যেটা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি পুরসভার। তাছাড়া পানীয় জল দিয়ে পুরসভার যেসব বাসিন্দা বাগান পরিচর্যা, গাড়ি পরিষ্কারের কাজ করছে সেসব বাসিন্দার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুরসভা বৈঠকে স্থির করেছে। 

    গরম পড়তেই ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামতে শুরু করেছে। শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। ইতিমধ্যেই পুরসভার ৪, ৫, ২১, ২৭, ২৯, ৩০, এমনকী মেয়রের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডেও জলের সমস্যা বাড়ছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে খোদ মেয়র গৌতম দেবের বাড়িতেও দু’দিন আগে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। যদিও সমস্যার সমাধান হয়েছে। 

    এদিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে, জলের সমস্যা সমাধানে পুরসভা কয়েকটি ট্যাঙ্ক কিনবে। যা দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। শহরে পানীয় জলের অপচয় রুখতে পুরসভার টিম বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালাবে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে জলের সমস্যা সমাধানে সেভক থেকে একটি মেগা জল প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পুরসভা। 

    মেয়র বলেন, পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে সেভক থেকে বৈকুণ্ঠপুর হয়ে তৃতীয় জল প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ চলছে। জল সমস্যা মেটাতে আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে কিছু বিষয় সামনে এসেছে যা রুখতে হবে। কিছু পুরবাসী জল সরবরাহের পাইপ লাইনের সঙ্গে সরাসরি পাম্প লাগিয়ে জল টেনে নিচ্ছে। এতে আশেপাশের বাড়িতে জল মিলছে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের টিম ওসব বাড়ি চিহ্নিত করবে। এরপর সংশ্লিষ্ট বাড়ির জলের লাইনের সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। এছাড়া পানীয় জল সংরক্ষণে সবক’টি ওয়ার্ড কমিটি এবং কাউন্সিলারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পানীয় জল দিয়ে গাড়ি ধোয়া, বাগানের গাছে জল দেওয়া বন্ধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা প্রচারে নামব।
  • Link to this news (বর্তমান)