• জলসঙ্কট, বালতি নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা
    বর্তমান | ০১ মে ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: জলের অভাবে দুর্বিষহ অবস্থা উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকার সাধারণ মানুষের। কল আছে, অথচ জল উঠছে না। প্রায় তিন মাস দুর্ভোগের পর মঙ্গলবার দুপুরে বালতি নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন ভুক্তভোগী মহিলারা। 

    স্থানীয় সূত্রের খবর, বাঙ্গালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নুরপুর বাঙালবাড়ি, যোগবাটি, নেতাজিপল্লি সহ একাধিক গ্রামে প্রতিবছরই জলকষ্ট দেখা দেয়। এবছরেও গত তিনমাস ধরে এই সমস্যা চলছে। একদিকে প্রবল দাবদাহ। তার উপরে জলের সমস্যায় নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। গৃহস্থালির কাজে প্রয়োজনীয় জল তো দূরঅস্ত, খাওয়ার জলটুকুও নেই। গ্রামে টিউবয়েল, টাইমকল থাকলেও তা বেহাল। কিছুকিছু জায়গায় পিএইচই’র পাইপলাইনের কাজ হলেও জল নেই। তাই এদিন গ্রামের মহিলারা বালতি নিয়ে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন।  জলের দাবিতে চলে আন্দোলন।

    বাসন্তী বর্মন, মৌসুমি শীল সহ বিক্ষোভকারী মহিলারা বলেন, প্রতিবছর এই সময় এলাকায় জলের সমস্যা হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ভোটের প্রচারের সময় রাজনৈতিক নেতারা জলের বন্দোবস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতকেও তিনবার জানানো হয়েছে। কিন্তু জলের  ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পুকুরের নোংরা জল দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।

    এদিন পঞ্চায়েত অফিসে মহিলারা বিক্ষোভ দেখালেও প্রধানের দেখা মেলেনি। তবে ব্লক প্রশাসনের তরফে সমস্যার দ্রুত সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হেমতাবাদের জয়েন্ট বিডিও রৌনক রায় বলেন, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পিএইচই’র মাধ্যমে এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে জলের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় জলের পাইপ রয়েছে, দ্রুত সেখানে পরিষেবা চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পিএইচই’র হেমতাবাদের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সুজয় সাহা বলেন, যান্ত্রিক সমস্যার জন্য এলাকায় পাইপের মাধ্যমে এখনও জল পরিষেবা শুরু হয়নি। দ্রুত নতুন যন্ত্র বসানো হবে। এখন ট্যাঙ্কের মাধ্যমে জল দেওয়া হচ্ছে। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)