• নওয়াজ ঘনিষ্ঠ ইশাককে Deputy PM নিয়োগ পাক সরকারের, কে এই নেতা?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • উপ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করল পাকিস্তান সরকার। বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারকে উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ইশাক দার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে সৌদি আরব সফরে যান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঠিক সেই সময় পাক মন্ত্রী পরিষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইশাককে  উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘোষণার পরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, সংবিধানে এই ধরনের কোনও পদের উল্লেখ নেই। কী এমন প্রয়োজন হল যে উপ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    পাকিস্তানে উপ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালের জুনে পাকিস্তানের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন চৌধুরী পারভেজ এলাহি। তবে ইশাককে উপ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার পরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে দেশটির রাজনীতি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলে। কারণ ইশাক পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) প্রধান তথা শাহবাজ শরিফের দাদা নওয়াজ শরিফের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। ফলে তাঁকে উপপ্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার পিছনে নওয়াজের উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রভাবশীল নেতা হিসেবে পরিচিত ইশাক। এর আগে বেশ কয়েকবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৯৮ সালে দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন ইশাক। এছাড়া, ২০১২-১৩ সালে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ইশাক দারকে নওয়াজ শরিফের একজন আস্থাভাজন হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তিনি কাশ্মীরি বংশদ্ভুত। তাঁর পূর্বপুরুষরা কাশ্মীর উপত্যকায় থাকতেন। 

    গত মাসেই ইশাক দারকে বিদেশ মন্ত্রী করেন শাহবাজ শরিফ। মার্চে শাহবাজ শরিফ যখন মন্ত্রিসভা নির্বাচন করেন তখন ইশাককে অর্থমন্ত্রী না করায় সকলেই অবাক হয়েছিলেন। বিদেশের বিষয়ে তেমন অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বিদেশমন্ত্রী করা হয়। আর এবার তাঁকে উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হল। 

    প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পরেই ইশাক ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি গত মাসে বলেছিলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ২০১৯ সালের পর থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা আবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করতে চায়। ফলে সেই ইশাককে উপ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)