• কর্মী কম কেন? ক্ষুব্ধ বিজেপির অনির্বাণ, গড়িয়ায় ভিড়ে আটকাল তৃণমূলের সায়নীর গাড়ি
    বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, বারুইপুর: রবিবার সকালেই তাল কাটল বারুইপুরে। প্রচারে গিয়ে নিজের দলের নেতার উপরই রেগে লাল যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, শঙ্করপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার কর্মসূচি ছিল অনির্বাণবাবুর। কাঁঠালবেড়িয়া এক নম্বর গেট থেকে টোটোয় চেপে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু সম্ভবত গরমের কারণে জনা পঞ্চাশ কর্মী যোগ দিয়েছিলেন। সে ছবি দেখেই রেগে যান বিজেপি প্রার্থী। প্রচারে কেন এত কম কর্মী? এ নিয়ে এক নেতার সঙ্গে রীতিমতো কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অবস্থা এমন আকার নেয় যে, অন্য কর্মীদের গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। এরপর প্রচার ফের শুরু হয়। তার কিছুক্ষণ পর বাইকে করে আরও কিছু কর্মী যোগ দেন। শঙ্করপুর হাটে পৌঁছে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন অনির্বাণবাবু। এরপর যান পশ্চিম দৌলতপুর গ্রামে। সেখানে রাস্তা ও বাড়ির বেহাল দশা নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, গ্রামে ইটের রাস্তা মেরামত হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে বারবার আবেদন করেও ঘর তৈরির টাকা পাইনি। বর্ষায় ঘরে থাকতে পারি না। অনির্বাণবাবু তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারে তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে মহিলাদের। আমি নির্বাচিত হলে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারে প্রথমেই জোর দেব। এই ঘরের টাকা তৃণমূল খেয়ে নিয়েছে। সব হিসেব হবে।’ বিকেলে চম্পাহাটি নীলমণিকর স্কুলে সংখ্যালঘুদের একটি সম্মেলনে যোগ দেন বিজেপি প্রার্থী। পরে কাটাখাল থেকে চম্পাহাটি পর্যন্ত টোটোয় চেপে প্রচার করেন।

    অন্যদিকে এদিন বিকেলে প্রথমে সোনারপুর দক্ষিণের রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পরিক্রমা করেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। সেখানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আট থেকে আশি সব বয়সির মধ্যেই তাঁকে নিয়ে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। নেত্রী-অভিনেত্রীকে দেখার জন্য রাস্তার দু’ধারে কম বয়সীদের ভিড় চোখে পড়েছে। পাশাপাশি বহু জায়গায় প্রবীণরাও এগিয়ে আসেন দেখা করার জন্য। এই ওয়ার্ডের কয়েকটি শিশু তাঁকে গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে উপহার দেয়। তারপর সোনারপুর উত্তরের একাধিক ওয়ার্ডে প্রচার কর্মসূচিতে যান সায়নীদেবী। এত ভিড় হয়েছিল, গড়িয়া স্টেশন থেকে গাড়ি এগনোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। রাস্তার দু’ধারে বিপুল জনসমাগম। ওয়ার্ডের অলিগলিতে বহু প্রবীণ নাগরিককে প্রার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়। এলাকার মানুষ থেকে দলীয় কর্মী—সবার মধ্যেই ছিল প্রার্থীকে ঘিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
  • Link to this news (বর্তমান)