• মানুষের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ২০০-র মধ্যেই আটকাবে বিজেপি: অভিষেক
    বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • বিমল বন্দ্যোপাধ্যায়, সাতগাছিয়া: দম্ভ, অহঙ্কার, ঔদ্ধত্য, অত্যাচার ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিজেপির ঘরে আম জনতা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে দিয়েছে। ফলে এবার ২০০-র মধ্যেই আটকে যাবে বিজেপির আসনসংখ্যা। দু’দফা ভোটগ্রহণ শেষে এমনটাই মনে করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    ১৯ ও ২৬ এপ্রিল দেশের মোট ১৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে বাংলার ৬টি আসন রয়েছে। জোড়াফুল শিবির নিশ্চিত, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য বুথ ফেরত রিপোর্টে সামনে এসেছে, তাতেই স্পষ্ট যে বিজেপি এবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরছে না। কোন অঙ্কে তৃণমূল এই দাবি করছে? রবিবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতগাছিয়া মুচিশা হাইস্কুল মাঠের ভরা জনসভায় সেটাই ব্যাখ্যা করলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের চোখ-মুখ ও শরীরী ভাষায় পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত দেশের মানুষ। ওদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে। পরের দফাগুলিতেও মানুষ বিজেপিকে পরাস্ত করবেন। যে বিজেপি নেতারা ৪০০ আসনের বড়াই করছেন, তাঁরা ২০০-র নীচে আটকে যাবেন।’ তীব্র গরম উপেক্ষা করে মানুষের ভোট দেওয়ার উৎসাহই কেন্দ্রে পরিবর্তন আনার সূচক বলে দাবি অভিষেকের। বিজেপিকে সরিয়ে নতুন সরকারকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের যে অগ্রণী ভূমিকা থাকবে, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তাঁর আরও দাবি, উত্তরবঙ্গের যে ছ’টি আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সেই জায়গাগুলি বিজেপির ‘গড়’ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু এবার এই ‘মিথ’ ভাঙতে চলেছে। সেখানকার বিজেপি নেতাদের শরীরী ভাষাতেই তা স্পষ্ট। এই প্রক্ষাপট সামনে রেখে অভিষেক বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন এদিন।  

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর এদিনই প্রথম নিজের লোকসভা কেন্দ্রে  জনসভা করেন বিদায়ী সাংসদ অভিষেক। মনোনয়নপত্র পেশের আগে এলাকার মানুষের কাছ থেকে আশীর্বাদ চেয়ে নেন তিনি। ৪৫ মিনিটের ঝোড়ো বক্তব্যে মোদি সরকারের আমলে দেশের মানুষের দুর্দিনের কাহিনি তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন এবং সাংসদ হিসেবে তাঁর কর্মকাণ্ডও উল্লেখ করেন অভিষেক। তাঁর হুঁশিয়ারি, প্রতি বুথের বাইরে পাঁচজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকলেও এবারের ভোট বিজেপি জিততে পারবে না। বিজেপি-বিদায় হচ্ছেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)