• রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরাই বেআইনি, মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর
    বর্তমান | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরা বেআইনিভাবে গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। এই উপাচার্যরা কোনও নিয়োগ করতে পারেন না। বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে একথা জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তিনি রবিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে এসেছিলেন। এদিন প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতি এবং অধ্যাপক সমিতির সদস্যদের নিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি বিশ্ববাংলায় নিয়োগ নিয়ে সরব হন।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় রাজ্যপাল বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন। বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানে বিচারপতি এই উপাচার্যদের মেয়াদ ছ’মাসের জন্য বেঁধে দেন। এছাড়া, তাঁরা কোনও স্থায়ী বা অস্থায়ী পদে নিয়োগ করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনওরকম সুযোগ সুবিধাও ভোগ করতে পারবেন না। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সম্প্রতি বিশ্ববাংলার গণিত বিভাগে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ করেন অস্থায়ী উপাচার্য দিলীপকুমার মাইতি। বিষয়টি জানাজানি হতেই শিক্ষক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যদিও দিলীপবাবুর দাবি ছিল, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন নিয়েই সংশ্লিষ্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সেই খবর ‘বর্তমান’এ প্রকাশিত হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল পড়ে। 

    এদিন বোলপুরে এসে অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা জেনে আমার অবাক লাগছে। সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই নিয়োগ করা হয়েছে। প্রথম কথা, ওঁরা বেআইনি উপাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ওঁদের ছয় মাসের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে ওঁরা কেউই এখন বৈধ উপাচার্য নন। ‌কেন গদি আঁকড়ে পড়ে আছেন বুঝতে পারছি না। রাজ্যপাল হয়তো থাকতে বলেছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও যদি নিয়োগ হয়ে থাকে, সেটা শিক্ষাদপ্তর দ্বারা অনুমোদিত বা গ্রাহ্য নয়। 

    এবিষয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আইনি পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল এনিয়ে আদালতে মামলা ওঠার কথা রয়েছে। যদিও অবৈধ নিয়োগ প্রসঙ্গে এদিন অস্থায়ী উপাচার্য দিলীপ কুমার মাইতি সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি।
  • Link to this news (বর্তমান)