• ২৫০ রান করার পরেও… ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে রোহিতদের সুরে সুর মেলালেন পন্ত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্ত এবার সেই সহ প্লেয়ারদের তালিকায় যোগ দিয়েছেন, যাঁরা ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’-এর নিয়ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শনিবার দিল্লি নিজেদের ঘরের মাঠে হাই স্কোরিং ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১০ রানে হারিয়ে ঢুকে পড়ল প্লে-অফের লড়াইয়ে। আর এই ম্যাচের পরেই পন্ত ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে মুখ খুলেছেন।

    ম্যাচের পর পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পন্ত বলেন, ‘আমরা ২৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ারের নিয়মের কারণে এমন স্কোর ডিফেন্ড করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।’

    ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, অক্ষর প্যাটেল, মহম্মদ সিরাজ সহ বেশ কয়েক জন প্রাক্তন খেলোয়াড়ও এই নিয়মের সমালোচনা করেছেন। ২০২৩ সালে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মটি চালু হয়। এই নিয়মে দলগুলি ইনিংস ব্রেকে একজন করে প্লেয়ার পরিবর্তন করার সুযোগ পায়। তবে এই নিয়ম নিয়ে এখন তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

    ২৭ বলে ৮৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের জন্য জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন পন্ত। তিনি বলেন, ‘ও প্রথম দিন থেকেই অসাধারণ পারফর্ম করছে এবং একজন তরুণ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এটাই চায় সকলে। প্রতি ম্যাচে ও আরও ভালো পারফরম্যান্স করছে।’

    প্লে-অফে পৌঁছানোর সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে দিল্লিj অধিনায়ক বলেন, ‘প্লেঅফে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে, কিন্তু আমরা এটা নিয়ে আপাতত ভাবছিনা। প্রতিটা খেলা ধরে এগোচ্ছি।’

    এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তবে প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠানোটাই কি বুমেরাং হয়ে গেল? এদিন দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক মুম্বইয়ের কোনও বোলারকে ছাতু করতে বাদ দেননি। এমনকী জসপ্রীত বুমরাহকেও মাঠের বাইরে পাঠাতে পিছপা হননি। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই পাওয়ার প্লে-তে ৯২ রান করে ফেলে দিল্লি। যেটি তাদের প্রথম ছয় ওভারে সর্বোচ্চ রান।

    তবে এদিন প্রায় নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন ম্যাকগার্ক। ২৭ বলে ঝোড়ো ৮৪ করে তিনি আউট হয়ে যান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চার এবং ছ'টি ছক্কায়। স্ট্রাইক রেট ৩১১.১১। আর এক ওপেনার অভিষেক পোড়েল করেন ২৭ বলে ৩৬ রান, ১৭ বলে ৪১ রান করেন শাই হোপ, ১৯ বলে ২৯ করেন ঋষভ পন্ত। এছাড়া পাঁচে ব্যাট করতে নেমে ২৫ বলে ৪৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ত্রিস্তান স্টাবস। তাঁর হাত ধরেই সাড়ে তিনশোর গণ্ডি পার করে দিল্লি। ৬ বলে ১১ করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে দিল্লি। এটি আইপিএলে তাদের নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর।

    রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি মুম্বইয়ের। রোহিত শর্মা (৮ বলে ৮), ইশান কিষান (১৪ বলে ২০) এবং সূর্যকুমার যাদব (১৩ বলে ২৬) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন তিলক বর্মা এবং হার্দিক। মুম্বই অধিনায়ক ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা সৌজন্যে করেন ২৪ বলে ৪৬। জুটিতে ওঠে ৭১ রান। এর পর নেহাল ওয়াধেরাও (৪) নিরাশ করেন।

    তবে টিম ডেভিড দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তিনি করেন ১৭ বলে ৩৭ রান। ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা হাঁকান ডেভিড। মহম্মদ নবি করেন ৪ বলে ৭ রান। শেষ ওভার রান আউট হন তিলক বর্মা। তবে তিলকের ৩২ বলে ৬৩ রানই মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় অক্সিজেন ছিল। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি করে চার এবং ছক্কা। তবে তিলক আউট হতেই মুম্বইয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। পিযূষ চাওলা করেন ৪ বলে ১০। লুক উড অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৯ রানে। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ করে মুম্বই। ১০ রানে তারা ম্যাচটি হেরে যায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)