বেআইনি অস্ত্রের খবর কেন ছিল না পুলিশের কাছে? প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার সন্দেশখালির আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলি মাফিয়া শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৫০টি কার্তুজ, শাহজাহানের একাধিক ফটো আইডেনটিটি কার্ড ও কার্তুজ কেনার বিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরকও। যা নিষ্ক্রিয় করতে ডাকতে হয় NSGকে। এই ঘটনায় যখন চক্রান্তের অভিযোগে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন পুলিশের অপদার্থতাকে দায়ী করছে তৃণমূলেরই একাংশ।
পড়তে থাকুন: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করতে হবে'
শুক্রবার সরবেড়িয়ার আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়ায় পেশায় টোটোচালক আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তল্লাশিটে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। এর মধ্যে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র বিদেশে তৈরি। যা ভারতে বিক্রি নিষিদ্ধ। এছাড়া রয়েছে একটি কোল্ট রিভলভার, যা শুধু পুলিশ ব্যবহার করে। শাহজাহানের অস্ত্রাগার থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মূল্য প্রায় ৪০লক্ষ টাকা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ওই বাড়ি লাগোয়া একটি কুড়ে ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক ও প্রায় ৩৫০ রাউন্ড গুলি। সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে শুক্রবার বিকেলে সন্দেশখালি পৌঁছয় NSGর বম্ব স্কোয়াড। এছাড়া পাওয়া শাহজাহানের বেশ কিছু সচিত্র পরিচয়পত্র। তার মধ্যে রয়েছে শাহজাহানের আধার কার্ড। এছাড়া পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু বিল।
এদিন এই অস্ত্র উদ্ধারের পিছনে বিজেপির চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে একটা চকোলেট বোমা ফাটলেও আপনাকে CBI, NIA, NSG পাঠাতে হয়? যেন যুদ্ধ হচ্ছে। তাও একতরফা। রাজ্য পুলিশকে বলেওনি। কেউ জানে না কী কী পাওয়া গিয়েছে। কোথা থেকে পাওয়া গিয়েছে। এটাও হতে পারে যে ওনারা গাড়ি করে নিয়ে এসে দেখিয়েছে। কোনও প্রমাণ নেই যে ওগুলো ওই ঘরেই ছিল। আজও আসার আগে আমাকে সন্দেশখালির একটা ছোট ঘটনার খবর পেলাম। ওখানে বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা মজুত করে রেখেছিল। ওরা ভাবে বোমা মেরে আর চাকরি খেয়ে ওরা ভোটে জিততে পারবে’।
কিন্তু তৃণমূলের অন্দর থেকেই উঠে আসছে উলটো তত্ত্ব। দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় বলেন, ‘বেআইনি অস্ত্র যে-ই রেখে থাকুক তার খবর তো পুলিশের কাছে থাকা উচিত ছিল। পুলিশ খবর পাওয়ার আগে সিবিআই খবর পেল কী করে? এজন্য পুলিশের অপদার্থতাই দায়ী।’