• সন্দেশখালি: ভোটের দিন ফাঁকা জায়গায় কেন অভিযান? CBI-NSG নিয়ে কমিশনে নালিশ TMC-র
    Aajtak | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • TMC complaint to ECI: বোমা-অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে ফের সন্দেশখালিতে উত্তেজনা। ঘটনাচক্রে রাজ্যে দ্বিতীয়দফার নির্বাচনের দিন শেখ শাহজাহানের গড় সন্দেশখালি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়। সিবিআই ইডিকে মারধর সংক্রান্ত তদন্ত করতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্রের হদিশ পায়। তারপরই আসে এনএসজি। এই ঘটনার একদিন পরই সিবিআই এবং এনএসজির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে, তৃণমূল দাবি করে সিবিআই ভোটের দিনে খালি জায়গায় বেআইনি অভিযান চালিয়েছে। 

    কমিশনে ২ পাতার চিঠি দিয়ে সিবিআই ও এনএসজির নামে নালিশ জানায়। তারা জানায়, বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার সময় আপনার অফিস চোখ বন্ধ করে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। তাদের দাবি, ২৬ তারিখ দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে নির্বাচন চলাকালীন সিবিআই ফাঁকা জায়গায় গিয়ে তদন্ত করতে থাকে। রাজ্য সরকার বা  পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযানের কোনও নোটিশ পাঠায়নি সিবিআই। রাজ্য পুলিশের সম্পূর্ণ কার্যকরী বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড যারা পুরো অপারেশনে সহায়তা করতে পারত। যদি সিবিআই মনে করত এই ধরনের অভিযানে তারা সহায়তা করতে পারত। যদিও সিবিআই-এর তরফে সেরকম কোনও সাহায্য চাওয়া হয়নি। আরও বিস্ময়কর যে, সংবাদমাধ্যমকর্মীরা সেখানে পোঁছে গেছিলেন রাজ্য পুলিশ পৌঁছানোর আগে। তবে এটা নিশ্চিত কিনা জানার উপায় নেই এই অস্ত্রগুলি প্রকৃতপক্ষে তল্লাশির সময় উদ্ধার করা হয়েছিল কিনা।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্দেশখালিতে অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার করে সিবিআই ও এনএসজি (ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড)। শেখ শাহজাহানের আত্মীয়ের বাড়িতে মেলে দেশি-বিদেশি বন্দুক, গুলি ও বোমা। সেই ছবিও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যে ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের দাবি, রোবট নিয়ে পরিকল্পিত চক্রান্ত। 

    দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন সন্দেশখালিতে বোমা রাখার সন্দেহে ময়দানে নামে এনএসজি। শেখ শাহজাহানের গড়ে বিস্ফোরকের খুঁজতে পৌঁছ যায় এনএসজি-র বম্ব স্কোয়াড এবং রোবট। সন্দেশখালির যে বাড়িটিতে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পাওয়াযায়, সেই বাড়িকে ঘিরে ফেলেন আধিকারিকরা। ভেড়ির আশপাশে এলাকাও ঘিরে ফেলা হয়। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় স্ক্যানার দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বিস্ফোরকের সন্ধানে কাজে লাগানো হয় রিমোট চালিত রোবটও।

    ওইদিন, ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে গিয়ে প্রচুর অস্ত্রের হদিশ পায় সিবিআই। তার পর ডাকা হয় এনএসজি। রোবট নিয়ে ওই জায়গায় তল্লাশি চালান এনএসজি কম্যান্ডোরা। উদ্ধার হয়েছে তিনটি বিদেশি রিভলবার, একটি দেশি রিভলবার, ১ কোল্ট পুলিশ রিভলবার, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি পিস্তল, ১২০টি ৯ এমএম বুলেট, ৫০টি পয়েন্ট ৪৫ ক্যালিবার কার্তুজ,১২০টি ৯ এমএম ক্যালিবার কার্তুজ, ৫০টি পয়েন্ট ৩৮০ কার্তুজ, ৮টি  পয়েন্ট ৩২ কার্তুজ। এর পাশাপাশি শেখ শাহাজাহানের নানা নথি এবং সন্দেহজনক দেশি বোমা উদ্ধার হয়।
     
  • Link to this news (Aajtak)