• কেজি-কেজি ঝাল কাঁচালঙ্কা খেয়ে নেন অবলীলায়! যতদিন বাঁচববেন, ততদিন লঙ্কা খেয়েই বাঁচবেন?
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • বিশ্বজিৎ মিত্র: ভোটের তপ্ত দুপুরে লঙ্কা খেয়ে পেট ভরছেন নদিয়ার রানাঘাট দু'নম্বর ব্লকের আইসমালির বাসিন্দা শেখর শিকদার। তার এই কাণ্ড দেখতে ৮ থেকে ৮০ সকলেরই ভিড় বাড়িতে।

    কেন তিনি হঠাৎ এরকম করছেন? না, তিনি হঠাৎ করেই এটা করছেন না। ছোটবেলা থেকেই লঙ্কা খাবার প্রতি এই প্রবণতা তাঁর। এবং বয়স যত বেড়েছে, এই প্রবণতা তত বেড়েছে। যত বয়স বেড়েছে ততই লঙ্কা খাওয়ার প্রতি তাঁর ঝোঁক বেড়েছে। সাধারণ মানুষ লঙ্কা খেলে জল বা মিষ্টির খোঁজ করেন। ইনি কিন্তু অনায়াসেই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি কাঁচা ঝাল লঙ্কা! দীর্ঘদিন ধরেই যে তিনি এভাবে লঙ্কা খেয়ে চলেছেন, এতে কি তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা হয়েছে? না, এতে তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা হয়নি। তিনি বরং এতেই অভ্যস্ত। যখনই ইচ্ছা হয় তখনই লঙ্কা খান। পথে-ঘাটে যেখানেই ভালো লঙ্কা দেখেন সেখানেই তা নিয়ে চিবোতে শুরু করেন শেখর। বাজারে গেলে তাঁর ঝাল লঙ্কা দেখলেই লোভ হয়। আর সেখানেই খাওয়া শুরু করে দেন!জানা গিয়েছে, ছোটবেলায় যখন চার বছর বয়স তখন থেকেই লঙ্কা খেতে ভালো লাগে তাঁর। যত বয়স বেড়েছে ততই তার লঙ্কাপ্রীতি বেড়েছে। বিয়ের আগে মাঠে-ঘাটে কাজ করতে গেলে সেখানে লঙ্কা খেয়েই পেট ভরাতেন। তবে, বিয়ে করার পরে এই অভ্যাসে কিছুটা বদল এনেছেন। যদিও শ্বশুরবাড়িতে বিয়ের পরে প্রথমবার গিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মাংসের বদলে সেখানে শুকনো লঙ্কা বাটা খেয়ে দেখিয়েছিলেন তাঁদের! তবে, তারপর থেকে আস্তে আস্তে লঙ্কা খাওয়া কিছুটা কমিয়েছেন।

    প্রচণ্ড ঝাল লঙ্কা, যা খেলে চোখ দিয়ে সাধারণ মানুষের জল গড়ায়, অবলীলায় সেই লঙ্কাবাটা চোখে-মুখে পর্যন্ত মেখে দেখান। তাঁর অদ্ভুত দাওয়াই, চোখে লঙ্কাবাটা মাখলে চোখ নাকি ভালো থাকে! তিনি বলেন, লঙ্কা পেটে গেলে শরীরের উপকার হয়। বাস্তবিক, তিনি লঙ্কা খেয়েই তাঁর নিজের রোগভোগ সেরেছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, যতদিন বাঁচবেন, ততদিন লঙ্কা খেয়েই বাঁচবেন!
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)