নান্টু হাজরা: হাইকোর্টের রায়ে চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষককের। এনিয়ে আজ পিংলার সভা থেকে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'গ্রামে গঞ্জে মানুষ খেকো বাঘের কথা শোনা যায়। কিন্তু চাকরিখেকো বিজেপি দেখেছেন? একইসঙ্গে হাজার হাজার ছেলের চাকরি খেয়ে নিয়ে বলছে চার সপ্তাহে টাকা ফেরত দিতে হবে ১২ শতাংশ সুদে। যিনি রায় দিয়েছেন তার যদি চাকরি চলে যায় আর সব টাকা ফেরত চাওয়া হয়, আপনি দিতে পারবেন তো! যখন ইচ্ছে চাকরি খেয়ে নেবে, মগের মুলুক নাকি!'
তমলুকে প্রার্থী হয়েছেন অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বিচারপতি থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগ মামলার একের পর রায়ে রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলেছেন। এনিয়ে তাঁকেও বিঁধতে কম করেনি রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়া তাঁর সভা থেকে বলেন, চাকরি খাওয়ার প্রথম সই করার লোক তমলুকে প্রার্থী হয়েছেন। এনিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন প্রাক্তন বিতারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন,
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণ একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। তাকে আমি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে আর স্বীকার করি না। চাকরি খাওয়া হয়েছে এই কারণে যে আপনারা চাকরি বিক্রি করেছেন বহু লোকের কাছে। তারপরে কারা জেনুইন ক্যানডিডেট এবং কাদের কাছে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত উপযুক্ত তালিকা কোর্টের এর কাছে দেননি। যদিও আমার হাত থেকে এই তদন্তটা শুরু হয়েছিল। তদন্ত সুপ্রিম কোর্ট অব্দি যায়। ডিভিশন বেঞ্চ সব জেনে বুঝে ১৭ টা কারণ দেখিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ওই ১৭ পয়েন্টের একটার উত্তর দিতে পারবেন? দিন না, আমরা শুনতে চাই। তিনি যদি না পারেন তবে তাঁর বিদ্যেবুদ্ধির অভাব আছে বলেই আমি মনে করি। ওনার ওখানে সৌগত রায় আছেন ভদ্রলোক পড়াশোনা জানা লোক। তাদেরকে দিয়ে এই ১৭টা পয়েন্টের উত্তর দিয়ে দিক না তাহলেই তো হয়ে যায়। কতটা জল কতটা দুধ সব বেরিয়ে যাবে। প্রথম চাকরি খাওয়া লোক এসব কথা বলে আর কি লাভ! আপনি তো প্রথম চুরি করার লোক আপনি চাকরি চুরি করা লোক। আপনি এবং আপনার দল। এটা ভাবতে আপনার একটুও লজ্জা হয় না কারণ আপনার লজ্জা বোধ নেই। সেই জন্য আপনি এসব কথা বলেন।এদিন দেবের হয়ে প্রচারে এসে দেব সম্পর্কে মমতা বলেন, 'যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক, আমরা তোমায় ছাড়ব না'। এদিনের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে চাকরি খেকো বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন ১০০ দিনের টাকা কেন বন্ধ, তা নিয়েও। তবে শুধু তাই নয়, এদিন দেবের সমর্থনে বার্তাও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাশেষে মঞ্চে দেবের সঙ্গে নাচে পা-ও মেলালেন মমতা।