• Bangladesh-China Military Exercise: চিন সেনার সঙ্গে পদ্মাপাড়ের জওয়ানদের যৌথ মহড়ায় সতর্ক ভারত
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিনা সেনাবাহিনী আগামী মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের প্রথম সামরিক অনুশীলন করবে। বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পিএলএ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে ভারতের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে।চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন যে, দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে ঐকমতে পৌঁছানো গিয়েছে এবং সেই তথ্য অনুযায়ী, পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য আগামী মাসের প্রথমার্ধে একটি দল বাংলাদেশে পাঠাবে।

    'চিন-বাংলাদেশ গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ ২০২৪' কোড নামের এই যৌথ মহড়াটি রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে মাথায় রেখে এই অনুশীলন করবে। তিনি বলেন, দুই সামরিক বাহিনী বাস হাইজ্যাকিং বিরোধিতা, সন্ত্রাসবাদী শিবির নির্মূল ইত্যাদি সহ বিভিন্ন বিষয়ে মিশ্র গ্রুপে যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে।‘এই প্রথমবার চিন ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে যা পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বকে বৃদ্ধি করবে এবং ব্যবহারিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে,’ উ বলেন।চিন, বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এটি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে পাকিস্তানের পরে সর্বোচ্চ। ভারতের চিন্তা বাড়িয়ে ঢাকার সঙ্গে যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, নৌ ফ্রিগেট, মিসাইল বোট, ফাইটার জেট ছাড়াও প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্কও উন্নত করেছে।চিন এর আগেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দুটি সাবমেরিন দিয়েছে।গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে চিনের নির্মিত ১.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাবমেরিন ঘাঁটি উদ্বোধন করেন। এটি সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজকে নিরাপদ জেটি পাওয়ার সুবিধা দেবে।এই ঘাঁটিতে একসঙ্গে ছয়টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে। এটি জরুরী পরিস্থিতিতে সাবমেরিনগুলির নিরাপদ এবং দ্রুত চলাচলের সুযোগ দেবে। এর কারণ এই ঘাঁটিটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত।এদিকে বাংলাদেশ ও চিনের যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে দিল্লিতে সাংবাদিকদেরকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ কিংবা অন্যত্র এই ধরনের মহড়ার ওপর ভারত সব সময় দৃষ্টি রেখে চলে’।এদিন বিদেশ মন্ত্রকের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি’। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)