• DEATH: অ্যাপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচারের পর কিশোরের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা শ্রীরামপুরে...
    আজকাল | ২৬ এপ্রিল ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি: কিশোর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত শ্রীরামপুর। আবারও ঘটল চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা। বেসরকারী নার্সিংহোমের চিকিৎসককে ব্যাপক মারধোর কিশোরের আত্মীয় পরিজনদের। অ্যাপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যু হয় কিশোরের। পুলিশ তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় চিকিৎসকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনেখালি থানার অন্তর্গত ভান্ডারহাটি বেনেপাড়ার বাসিন্দা সৌরভ চক্রবর্তীর ছেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র অগ্নিশ চক্রবর্তী (১৪)। গত শনিবার অগ্নিসের পেটে অসহ্য ব্যাথা শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে লাভ হয় না। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হরিপাল শ্রমজীবী হাসপাতালে। এরপর স্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককেও দেখানো হয়। কিন্তু কিছুতেই পেটের ব্যাথা কমেনি। উপায় খুঁজে না পেয়ে সোমবার তাকে ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে জানানো হয় অ্যাপেন্ডিক্স, দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। শ্রীরামপুরের এক নার্সিংহোমে যোযাযোগ করে মঙ্গলবার বেলা বারোটা নাগাদ অগ্নিশকে ভর্তি করা হয়। আল্টাসোনোগ্রাফি করার পর অপারেশন করে অ্যাপেন্ডিক্স বাদ দেওয়ার নিদান দেন নার্সিং হোমের চিকিৎসক। বেলা পৌনে দুটো নাগাদ তার অস্ত্রোপচার করা হয়। বিকেল চারটে নাগাদ নার্সিং হোমের তরফে পরিবারকে জানানো হয় অগ্নিশ সুস্থ রয়েছে। বুধবার এগারোটার সময় অগ্নিশের পরিবার নার্সিংহোমে যায় তাঁকে দেখতে। অগ্নিশ তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলে। তার কিছুক্ষণ পর হটাৎ চিকিৎসকরা জানান রোগীর অবস্থা ভাল না। তার বেশ কিছুক্ষণ পর জানানো হয় অগ্নিশের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই মৃত কিশোরের পরিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সুজয় মহান্তি নামে এক চিকিৎসক অগ্নিশের অস্ত্রোপচার করবেন বলেছিলেন। তাঁর পরিবর্তে চিকিৎসক রুবেল গাঙ্গুলি অস্ত্রোপচার করেন। চিকিৎসক মহান্তিকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে মৃত কিশোরের পরিবার। চুলের মুঠি ধরে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ সবসময় মদ্যপ অবস্থায় থাকেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে নার্সিংহোমে পৌঁছয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ বাহিনী। চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের তরফে চিকিৎসক এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)