নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রচারে বেরনোর ক্ষেত্রে বরাবরই সময় মেনে চলেন কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বৃহস্পতিবারও নির্ধারিত সময়ে তিনি চলে আসেন গড়িয়াহাট সংলগ্ন কাঁকুলিয়া বস্তিতে। অপেক্ষা করছিলেন লালঝাণ্ডার কর্মী-সমর্থকরা। এবার শুরু হল বস্তির মধ্যে ঢুকে দোরে দোরে গিয়ে প্রচার। ভোটারদের সায়রা বললেন, ‘এবার কিন্তু মালা বদল করতেই হবে।’ বাম প্রার্থীর এমন আবেদন শুনে প্রথমে কিছুটা ভড়কে যান জড়ো হওয়া মানুষজন। কেউ কেউ ভ্রু কুঁচকে পাশের জনকে জিজ্ঞাসাই করে ফেললেন, ‘মালা বদল মানে?’ খানিকক্ষণ বাদে সেখানে উঠল হাসির রোল। কারণ, ততক্ষণে সবার বোধগম্য হয়েছে, কলকাতা দক্ষিণের বিদায়ী সাংসদ মালা রায়কেই ‘বদল’ করার আবেদন জানাচ্ছেন প্রার্থী। এভাবেই প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে চলল সায়রার প্রচার।
বস্তির প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সায়রা বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধি কমাতে, চাকরির দাবিতে, আপনাদের এলাকার কথা দিল্লিতে পৌঁছে দিতে ভোট চাইতে এসেছি।’ এক ব্যক্তি সায়রাকে দেখে বলেন, ‘আপনারা তো অনেকদিন বাদে এলেন। এখন আর দেখতেই পাই না আপনাদের।’ বস্তিতে প্রচার চালিয়ে সায়রা চলে যান গড়িয়াহাট বাজারে। সেখানে দোকানিদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন তিনি। এক মহিলা সব্জি বিক্রেতা সায়রাকে বলেন, ‘বুড়োদের তাড়ান। নতুনদের ফেরান।’ একথা শুনে মিছিলের তরুণ বাম কর্মী-সমর্থকরা এগিয়ে এসে বললেন, ‘এই তো আমরা তরুণরা রয়েছি এখানে।’ সকালে গড়িয়াহাটে প্রচারের পর সায়রা চলে যান কসবা এলাকায় জনসংযোগ সারতে। পাশাপাশি, সায়রা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হ্যাশট্যাগ সেলফি’ প্রচার শুরু করেছেন। সিপিএম কি তবে জনপ্রিয় প্রচারের পথে হাঁটছে? প্রার্থী বলছেন, ‘সময় বদলাচ্ছে। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করে আমাদের রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
এদিকে, এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এদিন টালিগঞ্জ ফাঁড়ি, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, লেক গার্ডেন্স অঞ্চলে রোড শো করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার সহ অন্যান্যরা। জনসংযোগের পথে কখনও বাচ্চা কোলে নিয়ে আদর করেছেন, কখনও আবার তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছেন সমর্থকরায। বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এদিন বিকেলে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করেন। সেখানে পার্টি অফিস উদ্বোধনের পর দলীয় বৈঠক করেন তিনি।