• ভাঙার পরও নাকতলায় অবৈধ নির্মাণ
    বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুরসভার নথি অনুযায়ী নির্মাণটি বেআইনি। সম্প্রতি ভাঙাও হয় সেটি। কিন্তু তারপরও সেই ভাঙা জায়গা মেরামত করে ফের নির্মাণকাজ চলছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি নাকতলা অঞ্চলের। নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর মাঠের পিছনে একটি গলিতে গজিয়ে উঠেছে এই চারতলা নির্মাণ। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে নজরদারি আরও কড়া করেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু পুরসভা ভেঙে দেওয়ার পরেও কীভাবে নির্মাণ হচ্ছে, কোন ‘দুঃসাহস’ দেখাচ্ছে মালিকপক্ষ এবং প্রোমোটার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই নির্মাণটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার নতুন অর্ডার জারি করা হয়েছে।

    ওই বিল্ডিংয়ের নকশার অনুমোদন না থাকায় গত বছর সেটিকে বেআইনি ঘোষণা করেছিল পুরসভা এবং সেটি ভাঙার নোটিস দিয়েছিল। এরপর মালিকপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখানে প্রথমে স্থগিতাদেশ পেলেও পরে তা উঠে যায়। পুরসভা ফের ওই অবৈধ বিল্ডিং ভাঙার অর্ডার জারি করে। বিল্ডিং বিভাগের এক অফিসার বলেন, গত ৪ এপ্রিল দোতলা ও তিনতলার ঘরের মেঝে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, পরে সেই মেঝে ফের মেরামত করে নির্মাণকাজ চলছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এই প্রসঙ্গে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ওই বেআইনি নির্মাণের ব্যাপারে নিয়ে আমি নিজেই পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তারপর ভাঙা হয়। এখন আবার খবর পেয়েছি, পুরসভা ভেঙে দিয়ে আসার পরেও নির্মাণ হয়েছে। শুনেছি, আবার নতুন করে ভাঙার অর্ডার হয়েছে।

    পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে খবর, আগামী ২৩ এপ্রিল ওই বিল্ডিংটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নির্মাণটির সঙ্গে স্থানীয় ক্লাব ও পাড়ার ছেলেরা যুক্ত। রাজনৈতিক ‘দাদা’দের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের সম্পাদক দেবব্রত দে জানিয়েছেন, প্রোমোটারের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। কলোনি জমিতে নিয়ম বর্হিভূতভাবে বাড়িটি নির্মাণ হয়েছে, তা তিনি স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, কলোনি জমির কাগজপত্র অনেক সময় ঠিক থাকে না। পুরনো দোতলা বাড়ি নতুন করে বানানো হয়েছে। ওখানে কয়েকজন বাসিন্দা থাকেন। তাঁদের কথা না ভেবেই পুরসভা ভেঙে দিয়ে গিয়েছে। এবার, ফের ভাঙতে এলে আমরা রুখে দাঁড়াব।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)