• স্বৈরাচারী মোদিকে জেতালে এটাই দেশের শেষ নির্বাচন, তোপ মমতার
    বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • সোমেন পাল ও কাজল মণ্ডল, হরিরামপুর ও ইসলামপুর: স্বৈরাচারীর শাসন বড় ভয়ঙ্কর! জনগণের কী দুর্বিষহ অবস্থা হয়, তার উদাহরণ বিশ্বে কম নেই। যখন ঘোর কাটে, ততদিনে অন্ধকারে তলিয়ে যায় একটা দেশ। যদি সেরকম দিন দেখতে না চান,  বিজেপিকে একটাও ভোট নয়। কারণ, স্বৈরাচারী মোদিকে এবার জেতালে এটাই হবে দেশের শেষ নির্বাচন—বৃহস্পতিবার দুই দিনাজপুরে নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে সতর্ক করলেন রাজ্যবাসীকে। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে বালুরঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে সভা করেন তিনি। সেখানে বিজেপিকে বারবার মিথ্যেবাদী, জুমলাবাজদের দল বলে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আয়কর কর্তারা বিজেপির সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবারে যদি মোদি জেতে, মানুষকে আর ভোট দিতে দেবে না। এনআরসি করে দেশ থেকে তাড়াবে এক এক করে।’ একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের কথা যে মোদি সরকার ভাবে না, সেটা এদিন ফের মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা তিন বছর আটকে রাখা, আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করার কথা বারবার ফিরে এসেছে তাঁর ভাষণে।

    ভোট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই ‘ইস বার, চারশো পার’ হাওয়া তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাল্লা দিয়ে সেকথা প্রচারও করছে গেরুয়া শিবির। এদিন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে অন্য একটি সভায় সেই গ্যাসবেলুন ফুটো করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, ‘এইবার দু’শোও পার হবে না। বিজেপির সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে বিশ্বাস করবেন না। নিজেকে বিশ্বাস করুন।’

    গত ১০ এবং ১৬ এপ্রিল বংশীহারি ও বালুরঘাটে সভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন অমিত শাহ এবং মোদি। এদিন হরিরামপুরে তা সুদে আসলে ফিরিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভোট পাখি’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার প্রসঙ্গেও এদিন তাঁকে আক্রমণ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, দেশটাকে জেলে পরিণত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিজেপি।

    নেত্রীর বয়ানে এদিন উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্যের কথা। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মোদির ভিক্ষা চাই না। উন্নয়নের নিরিখে ভোট হোক। মোদির গ্যারান্টি বলেছিল, প্রত্যেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে পাবে। কেউ পেয়েছেন?’
  • Link to this news (বর্তমান)