• মদ কেলেঙ্কারিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তারের দাবি অভিষেকের
    বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • সুখেন্দু পাল, কালনা: মদ কেলেঙ্কারিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির গ্রেপ্তারির দাবি করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কালনায়  পূর্ব বর্ধমান জেলার নেতাদের নিয়ে তিনি সাংগঠনিক বৈঠক করেন। অভিষেক বলেন, ইডি, সিবিআইয়ের উচিত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা। তারা বলছে, ১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। ১০০কোটির মধ্যে ৫৫ কোটি টাকা তো ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির অ্যাকাউন্টে গিয়েছে।  কেজরিওয়াল না হয় জেলে বসে ‘আম’ খাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাড়িতে বসে ‘আম’ খেয়েছেন। 

     এদিন অভিষেক ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বিজেপি বলছে কে কত টাকা দিচ্ছে, তা বোঝার জন্য ইলেক্টোরাল বন্ড চালু করেছে। চেক বা এনইএফটি করে টাকা দিলেও বোঝা যেত, কার কাছে কত টাকা যাচ্ছে। তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ড করে কী হল?

     এদিন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সংগঠনিক  বিষয় নিয়ে তিনি কালনায় বৈঠক করেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, দলের নেতা স্বপন দেবনাথ, প্রার্থী শর্মিলা সরকার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জনসভা বা র‌্যালি করার  পাশাপাশি প্রতিটি জেলার নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কোন বিধানসভা কেন্দ্রের কী অবস্থা রয়েছে  জেলায় গিয়ে তা তিনি বিশ্লেষণ করছেন। নেতাদের কী করা উচিত সেটাও বাতলে দিচ্ছেন।বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের লিড বাড়বে বলে তৃণমূলের সেনাপতির দাবি। তারজন্য সমস্ত নেতাকে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। তারপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এদিন তিনি ইডি, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অভিষেক বলেন, টাকা নিতে দেখা যাওয়ার পরও ইডি-সিবিআই  ডাকে না। তা নিয়ে কেউ প্রশ্নও তোলে না। আমাকে এয়ারপোর্টে আটকানোর জন্য  সুপ্রিম কোর্টে ইডি ক্ষমা চেয়েছে। এসব হয়তো অনেকে জানেই না।

    প্রসঙ্গত,  ইডি দাবি করেছে, সুগার থাকা সত্ত্বেও জেলে বসে কেজরিওয়াল আম খাচ্ছেন। জমিন পাওয়ার জন্যই এই কৌশল নিতে পারেন। অভিষেক বলেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাড়িতে বসে আম খেলেও কেউ প্রশ্ন করে না। মদ কেলেঙ্কারির টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির অ্যাকাউন্টে যাওয়ার পরও ওদের সর্বভারতীয় সভাপতি কেন গ্রেপ্তার হবে না? এই প্রশ্ন ওঠা দরকার। মেদিনীপুরে থানায় ঢুকে পুলিসকে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের হুমকি প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গিয়েছে। এটা হতাশার বহিঃপ্রকাশ। হতাশা থেকে যা খুশি তাই করছে।

     এদিনের বৈঠকে অভিষেক বলেন, সরকারের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)