• বিষ্ণুপুরে আজ থেকে শুরু বাড়ি বাড়ি প্রচার
    বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে আজ, শুক্রবার থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ডোর টু ডোর’ প্রচারাভিযান শুরু হচ্ছে। তার জন্য প্রতিটি বুথে চার-পাঁচজন করে স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর শহরের যদুভট্ট মঞ্চে লোকসভা এলাকার প্রায় সমস্ত জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্বকে নিয়ে একটি সভা হয়। সেখানেই ওই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিনই প্রত্যেক ব্লক সভাপতির হাতে নিজ এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিট তুলে দেওয়া হয়। সভায় দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ  জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

    তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ডোর টু ডোর কর্মসূচি কীভাবে রূপায়িত হবে, তা এদিন যদুভট্ট মঞ্চে ঠিক করা হয়। আজ থেকেই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে একটি করে কিট তুলে দেওয়া হবে। তাতে বিজেপি কেন বাংলার জন্য ক্ষতিকর এবং তৃণমূল কংগ্রেস কেন বাংলার মানুষের জন্য সুরক্ষাকবচ তার খতিয়ান সমৃদ্ধ একটি রিপোর্ট কার্ড থাকবে। একটি স্টিকার থাকবে। যেটি পরিদর্শন করা বাড়ির দরজায় সাঁটানো হবে। বাড়ির সদস্যদের শপথ গ্রহণ করানো হবে। ওই বাড়ির মহিলার হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ব্র্যান্ডের মানিব্যাগ তুলে দেওয়া হবে। প্রতি স্বেচ্ছাসেবককে প্রথম পর্যায়ে প্রতিদিন ১০টি করে মোট ৫০বাড়িতে যাওয়ার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে।  

    তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়বেন। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে প্রথমেই কুশল বিনিময় করবেন। বিজেপি কেন বাংলার জন্য ক্ষতিকর, তার ভিডিও মোবাইলে দেখানো হবে। ১০০দিনের কাজ, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাকে বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করার খতিয়ান সংক্রান্ত রিপোর্ট কার্ড তুলে দেওয়া হবে। সবশেষে গৃহকর্তার অনুমতি নিয়ে শপথবাক্য লেখা স্টিকারে নাম লিখে তা সাঁটানো হবে বাড়ির দরজায়। এভাবেই প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক পাঁচদিন ধরে ৫০টি করে বাড়িতে যাবেন। পরবর্তী পর্যায়ে তা আরও বাড়ানো হবে। এভাবেই ভাঁওতাবাজ বিজেপি ও মানবিক তৃণমূল কংগ্রেস দলের ফারাক সাধারণ মানুষকে বোঝানো হবে।  

    দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে, পরিদর্শন করা বাড়ির সদস্যরা স্থানীয় কোনও ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বেচ্ছাসেবকদের তাঁর উত্তর দিতে হবে। তার জন্য স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে তাঁকে অবগত থাকতে হবে। এভাবেই মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে তৃণমূল। নেতৃত্ব আশা করছে, আসন্ন নির্বাচনে এই কর্মসূচি ভালো ফল দেবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)