স্বপন পাল, করণদিঘি: প্রথমবার বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে আনন্দের সীমা নেই ১২১ বছরের ঝালন বেওয়ার। তিনি খুশি, কারণ বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার ঝক্কি এবার আর পোহাতে হল না। করণদিঘির কুইতোরের এই বাসিন্দার বাড়িতে ভোট কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন। ঘরের মধ্যেই প্লাইউড দিয়ে অস্থায়ী বুথ তৈরি করা হয়। ঝালন বলেন, এত বেশি বয়সের জন্য বেশিরভাগ সময় বিছানায় শুয়ে, লাঠি হাতে চলাফেরা করে কেটে যায়।তাই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে খুশি। এই প্রথমবার বুথে ভোট দিতে যেতে হল না। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করার জন্য নির্বাচন কমিশন সহ ভোট কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঝালন। তাঁর ছেলে আব্দুল সাত্তার বলেন, নির্বাচন কমিশন এরকম ব্যবস্থা ব্যবস্থা না করলে মায়ের মতো অনেকেই ভোট দিতে পারতেন না।
লোকসভা ভোট ঘোষণা হতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছিল। নতুন ভোটারদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য। পাশাপাশি বলা হয়েছিল বয়স্ক ও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়া হবে।
সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের করণদিঘি বিধানসভায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারার মতো ভোটারের সংখ্যা রায়গঞ্জ কেন্দ্রে কম নয়। করণদিঘি বিধানসভায় ৮০ বছরের ঊর্ধ্ব ও কেন্দ্রে যেতে অক্ষম ভোটারের সংখ্যা ২২১ জন। করণদিঘি, রায়গঞ্জ, চাকুলিয়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় আরও এধরনের ভোটার রয়েছেন।