• GTA নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI অনুসন্ধানে আপত্তি রাজ্যের, কারণ জানতে চায় হাইকোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • এবার পাহাড়ের স্কুলগুলিতে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তাতে রাজ্যের শাসক দলের অনেকের নাম জড়িয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি বেনামি চিঠি সামনে আসার পরেই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। তবে সিবিআই অনুসন্ধানে আপত্তি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে অবশ্য লাভ হল না। সেই সংক্রান্ত মামলায় আপাতত কোনও অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট। এবিষয়ে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরে আদালত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

    সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে প্রধান বিচারপতি না থাকায় মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। এই সংক্রান্ত মামলায় বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চায় সিবিআই তদন্ত হলে তাতে কী সমস্যা রয়েছে। 

    জানা যায়, হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতেই জিটিএ-র নিয়োগ দুর্নীতিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করে রাজ্য। সেই এফআইআরে পার্থ সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে। এর ভিত্তিতে সিবিআই অনুসন্ধান বন্ধের আর্জি জানায় রাজ্য সরকার। তবে আদালত এই আবেদনে ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৮ এপ্রিল বেলা ২ টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে এই সময়ের মধ্যে সিবিআই অনুসন্ধানে কোনও অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ।

    প্রসঙ্গত, পাহাড়ের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছে। সে সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একটি বেনানি সম্প্রতি চিঠি পায় সিআইডি। চিঠিতে শাসক দলের একাধিক নেতা এবং মন্ত্রীর নাম রয়েছে, যাদের নামে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি পাহাড়ের পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে চিঠিতে । 

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিঠিতে একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর নাম রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক, যুবনেতা তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নাম।এছাড়াও বিনয় তামাংয়ের নাম উল্লেখ রয়েছে এই চিঠিতে। তাতে বলা হয়েছে তাদের সৌজন্যে পাহাড়ে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। 

    এক্ষেত্রে তদন্তের জন্য আগেই সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপর চিঠির বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন তিনি। 

    উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা হাই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের তদন্ত করছে সিআইডি। সেই তদন্তের সময় এই চিঠিটি সামনে আসে। কোনও পরিচয় না দিয়ে এক সরকারি আধিকারিক চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। ৩২৩ জনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাতেই একাধিক নেতার নাম উল্লেখ করা হয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)