• রামনবমী উপলক্ষ্যে সিসি ক্যামেরায় মুড়ছে ধর্মীয় স্থান, নির্দেশ জারি করল লালবাজার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • রামনবমীতে শোভাযাত্রা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, হাওড়ায় দু’‌দিন ধরে পালিত হবে রামনবমী। সেই অনুমতিও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই রামনবমী নিয়ে একদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে সতর্ক করেছেন। যাতে কোনও গোলমাল রাজ্যে না হয়। আবার আজ, মঙ্গলবার রামনবমী নিয়ে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুতরাং রামনবমী নিয়ে রাজ্যে সরগরম পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাংলায় যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই শহরের সব সংবেদনশীল এবং ধর্মীয় স্থানকে সিসি ক্যামেরায় মোড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার।

    রামনবমী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকার বহু আগেই ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই আগামীকাল, বুধবার রাজ্য সব সরকারি দফতর বন্ধ থাকবে। তার উপর দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন রয়েছে। তাই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক চান না পুলিশের কর্তারা। এবার প্রত্যেকটি থানা এলাকার কোথায় কোথায় ওই ক্যামেরা বসানোর দরকার আছে সেটা নিয়ে কদিন আগে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষকর্তারা। তাই থানাগুলির পক্ষ থেকে সেই তথ্য লালবাজারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, কমপক্ষে ২৫০টি জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো দরকার। তারপরই সংবেদনশীল এবং ধর্মীয় স্থানের চারদিকে ক্যামেরা বসানোর জন্য ডেপুটি পুলিশ কমিশনারদের বলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    এদিকে রামনবমী নিয়ে পুলিশের পূর্ব অভিজ্ঞতা ভাল নয়। তাই তেমন কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে এবং ঘটলে যাতে তার উৎসে পৌঁছনো যায় এই কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। সম্প্রতি উত্তর কলকাতায় ধর্মীয় স্থানে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। তার জেরে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ চাপে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। কারণ সংশ্লিষ্ট জায়গায় কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে লালবাজার শহরের সব ধর্মীয় এবং সংবেদনশীল এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে এলাকার নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এবার তৎপরতার সঙ্গে লালবাজার থেকে থানাগুলির কাছে নির্দেশ গিয়েছে।

    অন্যদিকে লালবাজার সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে কলকাতা শহরের নানা ধর্মীয় স্থানে জরুরি ভিত্তিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কারণ শহরে ধর্মীয় উন্মাদনা বেড়ে গিয়েছিল। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেই সিসি ক্যামেরাগুলি কী অবস্থায় আছে, তাও খোঁজ নিয়ে দেখতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। এই নির্দেশ দিয়ে পরিস্থিতির রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে। তার সঙ্গে আর কোথায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি দরকার আছে সেটাও দেখে জানাতে বলা হয়েছে। যার রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার রামনবমীকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্যও সতর্ক করা হয়েছে সব থানাগুলিকে।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)