• বিজেপি ও তৃণমূল একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ: সূর্যকান্ত
    বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে লোক দেখানো লড়াই লড়ছে। কিন্তু দু’টি দলই একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কোনও পার্থক্য নেই। আসল লড়াই লড়ছে বামেরাই। এই দু’টি দলকেই হঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার খেজুরিতে নির্বাচনী প্রচারের শেষদিনে সিপিএম প্রার্থীদের সমর্থনে রোড শো ও সভায় যোগ দিতে এসে একথা বলেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। এদিন খেজুরির বটতলা থেকে রোড শো শুরু হয় এবং বিদ্যাপীঠ মোড়ে শেষ হয়। বিদ্যাপীঠ মোড়ে আয়োজিত সভায় সূর্যকান্ত বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে চাকরি বিক্রি থেকে শুরু করে কয়লা, বালি চুরি কোনওকিছুই বাদ যায়নি। পঞ্চায়েত স্তর থেকে জেলা পরিষদ, সর্বত্র লুট চলছে। ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল। একজনও নেতা মন্ত্রীকে চুরির দায়ে জেলে যেতে হয়নি। এখন তৃণমূলের আমলে হাফ ডজন নেতামন্ত্রী জেলে রয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপি সরকার বিদ্যুৎ থেকে বন্দর, রেল, সবই বেসরকারিকরণ করছে। এই বেসরকারি পুঁজিপতিরা দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুট করছে। তাদের টাকাতেই মোদি সরকার ও এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার চলছে।  তিনি বলেন,  পঞ্চায়েতে একদিকে রয়েছে খেটে যাওয়ার মানুষ আর একদিকে লুটে খাওয়া মানুষ। দিনের শেষে খেটে খাওয়া মানুষরাই জয়ী হবেন। তাই তাঁদের সঙ্গে নিয়েই এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়তে হবে। তাঁর আহ্বান, বামপন্থীদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের কাছে যেতে হবে। ভোটের দিন তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই বুথ দখলের চেষ্টা করবে। তা রুখতে হবে এবং বুথ দখল রুখতে পারলেই মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে উঠতে কোনও বাধা থাকবে না। তাই বুথ থেকে গণনাকেন্দ্র পর্যন্ত লড়াইয়ে কোনও ফাঁক রাখা চলবে না। প্রতিটি মুহূর্ত পাহারা দিতে হবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনাদি সাহ, জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস প্রমুখও। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)